এফ-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য কেমন বাজেট উপযুক্ত?
অনেকেই এফ-কমার্স বিজনেস করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যে বিষয়টিতে আটকে যায় তা হলো বাজেট। সবার চিন্তা থাকে একজায়গায় তা হচ্ছে এফ-কমার্স এর জন্য কেমন বাজেট দরকার। আগের অধ্যায়ে তো নিশ্চয়ই পড়েছেন যে এফ-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে কি কি দরকার। চলুন আরো একবার জেনে নেয়া যাক:
এফ-কমার্স এর জন্য যা যা লাগে তা হলো:
১. পার্সোনাল ফেসবুক আইডি
২. ফেসবুক পেইজ
৩. ফেসবুক গ্রুপ
৪. ফেসবুকের অ্যাড ম্যানেজার
৫. অ্যাড বাজেট
উপরিউক্ত জিনিসগুলো একদমই ফ্রি শুধু অ্যাড বাজেট বাদে। কেননা টাকা ছাড়া তো আর আপনি অ্যাড রান করতে পারবেন না তাই না?
কিন্তু এফ-কমার্স এ মার্কেটিং আপনি দুইভাবে করতে পারবেন। তা হলো:
১. অর্গানিক মার্কেটিং
২. পেইড মার্কেটিং
অর্গানিক মার্কেটিং বলতে বোঝায় ফ্রি ওয়েতে মার্কেটিং। এতে শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং টাইমলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়। এতে করে যত মানুষের কাছে রিচ করাতে পারবেন তত আপনার লাভ। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় যে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌছাবে তা কিন্তু নয়। এটি একটি সমস্যা অর্গানিক মার্কেটিং এর। তবে অর্গানিক মার্কেটিং যে মানুষ করছে না তা কিন্তু নয়। বরং অনেক ব্যবসা শুধু অর্গানিক মার্কেটিং করেই চলছে।
আরেকটা হচ্ছে পেইড মার্কেটিং। দেখুন আপনি যদি অর্গানিক এর উপর ডিপেন্ড হয়ে থাকেন তবে পরামর্শ দিবো এই ডিপেন্ড থেকে বের হয়ে আসতে। কেননা অর্গানিক ওয়েতে আপনি যে গ্রুপ বা পেইজে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করছেন তার হয়তো সর্বোচ্চ ৫-৬% অডিয়েন্স আপনার পোস্ট দেখছে। এতে কি আপনার আদৌ কোনো লাভ হবে বলে মনে করেন? অবশ্যই না। আজ নাহোক কাল আপনার পেইড মার্কেটিং এর দিকে ঝুকতেই হবে।
তবে পেইডে গেলেও একটা পরামর্শ দিবো দয়া করে ৫/১০ ডলারের এড দিবেন না। কেননা ফেসবুকে ৫/১০ ডলারে এড দেয়া আর ফেসবুকের সাথে মজা নেয়া এক বিষয়।
একসময় এটা কাজ করতো। তবে এখন দিন বদলেছে। ফেসবুক আগের মতো নেই। অনেকেই অ্যাড দিচ্ছে। তাই অ্যাড অকশনে আগাতে চাইলে বাজেট বাড়াতেই হবে।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন অ্যাড বাজেট কমপক্ষে ৫০-১০০ ডলার রাখতে। কেননা আমি আপনাকে বলতে পারতাম ৫-১০ ডলার বাজেট রাখুন। কিন্তু এটা আসলে উপযুক্ত পরামর্শ না। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি। ৫-১০ ডলার বিজ্ঞাপন দিয়ে সেল আশা করবেন না। কারণ আগেই বলেছি ৫/১০ ডলার ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়া আর ফেসবুকের সাথে মজা নেয়া সমান। আমার কিছু ক্লায়েন্টের কাছে আমি ১০০-২০০ ডলার তো টেষ্টিং বাজেট রাখি। তো আপনি বলুন ৫-১০ ডলারে কি টেস্ট করবো?
আর এফ-কমার্সে যদি আপনি নিজের প্রোডাক্ট তৈরি করে নেন তবে প্রোডাক্ট প্রাইসিং খুবই চিন্তাভাবনা করে করতে হবে। এক্ষেত্রে কম্পিটিটর রিসার্চ খুবই সূক্ষ্মভাবে করতে হবে। কেননা মানুষ যখন কোনো পণ্য কিনে তখন সে দশটা জায়গায় যাচাই- বাছাই করে তারপর কিনে। সেক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট প্রাইস যদি আপনার কম্পিটিটরদের থেকে খুবই বেশি হয় তখন কিন্তু কেউ কিনতে চাইবে না। তাই প্রাইসিং এর সময় খুবই ঠান্ডা মাথায় করতে হবে।
মূলত এফ-কমার্স বিজনেস করতে খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট লাগে তা নয়। তবে অ্যাড বাজেট আর হালকা কিছু প্রোডাক্ট মিলিয়ে আপনি যদি অন্ততপক্ষে ১০ হাজার টাকা বাজেট নিয়ে নামতে পারেন তবে আপনার জন্য উপযুক্ত। আপনি যদি এটাকে বেশি মনে করেন তবে ভাবুন একটি সরাসরি একটা দোকান নিলে ভাড়া, এডভান্স, সাজানো সব মিলিয়ে কত যেত? অথচ ফেসবুকে সব আপনি আগে থেকেই রেডি করা পাচ্ছেন।
👉আমরা ফেসবুক পেইড এবং ফ্রি মার্কেটিং যাবতীয় সার্ভিস দিয়ে থাকি!
👉ফেসবুক ফ্রি এন্ড পেইড মার্কেটিং সার্ভিস নিতে আমাদের ইনবক্স করুন!
অথবা কল করতে পারেন এই নাম্বারে:👇
01644994020 (WhatsApp Business Account)
ওয়েবসাইট: https://digitalmarketingexpert360.com
#Fcommerce #ফেসবুক শপ #সামাজিক বাণিজ্য #ডিজিটাল মার্কেটিং #ইকমার্স #অনলাইনে কেনাকাটা #লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন #সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং #ব্যবসা বৃদ্ধি
Comments
Post a Comment